Have a visit





Nilgiri and Thanchi


Nilgiri
Nilgiri

Nilgiri and Thanchi

Nilgiri or Nil Giri is one of the tallest peaks and beautiful tourist spot in Bangladesh. It is about 3500 feet high and situated at Thanci Thana. It is about 46 km south of Bandarban on the Bandarban-Chimbuk-Thanchi road. Beside this spot you can see Mro villages. Their colorful culture and living style are surely an unexplored experience for the visitors. In rainy season here creates a spectacular scenery, the whole spot is covered with the blanket of clouds. You can enjoy a cloudy experience. Winter is waiting for you with it’s foggy gesture on the height. It is a nice place for campfire in that season. Most attractive time is the dawn. It is better if you chose to stay during 7-18 dates of a lunar month to enjoy the moonlit night. You can also enjoy the serpentine course of Sangu River. This is the most spectacular tourist spot in Bandarban and managed by Army brigade of Bandarban.
- See more at: http://www.bandarbantours.com/nilgiri-and-thanchi/#sthash.Xijpw5xz.dpঘুরে আসুন নিঝুম দ্বীপ
ঘুরে আসুন নিঝুম দ্বীপ

ঘুরে আসুন নিঝুম দ্বীপ

নিঝুম দ্বীপে সূর্যোদয়, ছবিঃ জওবায়ের রায়হান
নিঝুম দ্বীপে সূর্যোদয়
নিঝুম দ্বীপ! নাম শুনলেই অজানা এক শিহরণে কেপে ওঠে মন! চারদিকে সমুদ্র, নদীর মোহনা, কেওড়া বন আর সহস্র হরিণের অভয়াশ্রম এই নিঝুম অরন্য! সকালে ঘুম থেকে জেগে শুনতে পাবেন অসংখ্য পাখির কলতান। নির্মল সূর্যোদয়। দুপুরের সোনারোদে বনের ভেতরের রূপ দেখে বিহবল হতে হবে যে কোন পর্যটককে। হঠাৎ হয়তো দেখবেন গাছের ফাঁকে একচিলতে সোনালি ঝিলিক! হরিন! ওদের মায়াবী চোখ দেখে মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে যাবেন। যখন সম্বিৎ ফিরবে, তখন কিছুই নেই! এ যেন প্রকৃতির সাথে লুকোচুরি! এখানে বিকেল আসে মায়াবী রূপ নিয়ে। সন্ধায় দূর ‘কবিরার চর’রের উপর দিয়ে সূর্য যখন অস্ত যাবে, সেই দৃশ্য নিশ্চিত ভাবেই আপনার দেখা শ্রেষ্ঠ সূর্যাস্ত হবে! এখানে রাত নামে আরও বিপুল সৌন্দর্য আর ঐশ্বর্য নিয়ে। বনের উপর দিয়ে থালার মত পূর্ণিমার চাঁদের আলো এসে আপনার দেহ-মন জুড়িয়ে দেবে। সেই দৃশ্য স্বর্গীয়, সেই অনুভুতি অপার্থিব!
তাই আসুন, বেড়িয়ে যান বাংলার স্বর্গ নিঝুম দ্বীপে। দেখুন নিজেকে। দেখুন বাংলাদেশকে।
দ্বীপের দুরন্ত বালকেরা, ছবিঃ জোবায়ের রায়হান
দ্বীপের দুরন্ত বালকেরা
নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অর্ন্তগত নিঝুম দ্বীপ। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমানওসমান নামের একজন বাথানিয়া তার মহিষের বাথান নিয়ে প্রথম নিঝুম দ্বীপে বসত গড়েন। তখন এই নামেই এর নামকরণ হয়েছিলো। পরে এই নাম বদলে নিঝুম দ্বীপ নামকরণ করা হয়।মূলত বল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর এবং চুর মুরি- এই চারটি চর মিলিয়ে নিঝুম দ্বীপ। প্রায় ১৪,০০০ একরের দ্বীপ ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে জেগে ওঠে। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের আগ পর্যন্ত কোনো লোকবসতি ছিলো না, তাই দ্বীপটি নিঝুমই ছিলো। বাংলাদেশের বনবিভাগ ৭০-এর দশকে বন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চার জোড়া হরিণ ছাড়ে। নিঝুম দ্বীপ এখন হরিণের অভয়ারণ্য। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের হরিণশুমারি অনুযায়ী হরিণের সংখ্যা ২২,০০০। নোনা পানি বেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ কেওড়া গাছের অভয়ারণ্য। ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে সুন্দরবনের পরে নিঝুম দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বলে আখ্যায়িত করা হয়।
পাখির চোখে নিঝুম দ্বীপ
পাখির চোখে নিঝুম দ্বীপ
নিঝুম দ্বীপে হরিণ এবং মহিষ ছাড়া অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী নেই। হরিণের সংখ্যা প্রায় ২২,০০০। নিঝুম দ্বীপে রয়েছে প্রায় ৩৫ প্রজাতির পাখিএছাড়াও শীতের মৌসুমে অজস্র প্রজাতির অতিথির পাখির অভয়ারণ্যে পরিণত হয় নিঝুম দ্বীপ। নিঝুম দ্বীপে বিশাল এলাকা পলিমাটির চর। জোয়ারের পানিতে ডুবে এবং ভাটা পড়লে শুঁকোয়। এই স্থানগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের বসবাস। জোয়ারের পানিতে বয়ে আসা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এদের একমাত্র খাবার।এছাড়াও রয়েছে প্রায় ৪৩ প্রজাতির লতাগুল্ম এবং ২১ প্রজাতির অন্যান্য গাছ।
নিঝুম দ্বীপে হরিন শাবক, ছবিঃ জোবায়ের রায়হান
নিঝুম দ্বীপে হরিন শাবক
যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে দুইভাবে নিঝুম দ্বীপ আসা যায়।
সড়ক পথের রুটঃ ঢাকা-সোনাপুর(নোয়াখালী)-চেয়ারম্যান ঘাট-হাতিয়ার নলচিরা ঘাট(সী-ট্রাক বা ট্রলারে)-হাতিয়ার অপর প্রান্ত জাহাজমারা বাজার-নিঝুম দ্বীপ যাবার ঘাট(খেয়া পারাপার)-নিঝুম দ্বীপ বন্দরটিলা ঘাট-নামার বাজার।
ঢাকার সায়দাবাদ এবং কমলাপুর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য বাস নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সময় লাগে ৫-৬ ঘণ্টা। ভাড়া বাস ভেদে ২৫০- ৩৫০ টাকা। সোনাপুর নেমে আবার বাসে চেয়ারম্যান ঘাট। সময় লাগবে ২ ঘণ্টার মত। ভাড়া ৬০-৮০ টাকা। চেয়াম্যান ঘাট থেকে প্রতিদিন দুপুর ২ টার দিকে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সি ট্রাক। সেগুলোতে চড়ে চলে যাবেন হাতিয়া। ভাড়া নেবে চেয়ারে ১৫০ টাকা এবং ডেকে ১০০ টাকা। সময় লাগবে ১.৩০ মিনিট। আপনাকে হাতিয়ার যে ঘাটে নামিয়ে দেবে সে ঘাটের নাম ‘নলচিরা ঘাট’। নলচিরা ঘাট থেকে ‘চান্দের গাড়িতে’ যাবেন হাতিয়ার অপর প্রান্ত জাহাজমারা বাজার। সময় লাগবে ৩ ঘণ্টার মত। ভাড়া নেবে ৮০-১০০ টাকা। জাহাজমারা বাজারে রাতে থাকবেন। এখানে থাকার জন্য তেমন ভালো হোটেল নেই। যেগুলো আছে সেখানে কষ্ট করে থাকতে হবে। ভাড়া নেবে ১০০-১২০ টাকা জনপ্রতি। সকালে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার জন্য আপনাকে ঘাটে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে মোটরসাইকেল ছাড়া আর কোন যানবাহন নেই। একটি মোটরসাইকেলে তিনজন পর্যন্ত উঠা যায়। ভাড়া জন প্রতি ৬০-৮০ টাকা। পূর্বেই দরদাম করে নেবেন। ঘাটে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩০ মিনিটের মত। ঘাটে দাঁড়ালেই অপর পাশে দেখতে পাবেন স্বপ্নের নিঝুম দ্বিপের বনাঞ্চল। সকাল ৯ টায় নিঝুম দ্বীপ যাবার নৌকা ছাড়ে। ভাড়া ২০-৩০ টাকা। সময় লাগবে ৩০ মিনিট। নদী পার হওয়ার পথে অসংখ্য পাখি দেখতে পাবেন। নিঝুম দ্বীপে আপনাকে নামিয়ে দেবে যে ঘাটে তার নাম ‘বন্দরটিলা ঘাট’ নেমে মোটরসাইকেলে সরাসরি চলে যাবেন ‘নামার বাজার’। ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। (যাতায়াত এবং ভাড়া সংক্রান্ত তথ্যগুলো মার্চ-২০১৩ সালের)
নৌ পথেঃ ঢাকা-তমরুদ্দি(হাতিয়া)-হাতিয়া বন্দরটিলা-নিঝুম দ্বীপ বন্দরটিলা-নামার বাজার।
ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার সহজ রুট সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে হাতিয়ারতমরুদ্দি। এ পথে এমভি পানামা এবং এমভি টিপু-৫ নামে দুটি লঞ্চ নিয়মিত চলাচলকরে। যোগাযোগের ফোন-০১৯২৪০০৪৬০৮ এবং ০১৭১১৩৪৮৮১৩।
ভাড়া ডাবলকেবিন ১২০০ আর সিঙ্গেল ৬৫০ টাকা। ডেকে জনপ্রতি ২০০ টাকা খরচ হবে। ঢাকা থেকে ছাড়ে বিকেলে আর তমরুদ্দি থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে দুপুর সাড়েবারটায়। আর তমরুদ্দি থেকে স্কুটারে বন্দরটিলা ঘাট খরচ হবে ৪৫০-৫৫০ টাকা।স্কুটার ছাড়া বাস এবং রিকসা করে বন্দরটিলা ঘাটে যাওয়া যায়। বাস ভাড়া ৩০-৪০ টাকারিকসা ভাড়া ৫০-৬০ টাকা।সেখান থেকে ট্রলারে চ্যানেল পার হয়েনিঝুম দ্বিপের বন্দরটিলা ।সেখান থেকে মোটরসাইকেলে নামাবাজার
দ্বীপের গহীন অরন্যে! ছবিঃ জোবায়ের রায়হান
দ্বীপের গহীন অরন্যে! 
কোথায় থাকবেনঃ
নিঝুম দ্বীপে আপনাদের থাকার জন্য আদর্শ স্থান ‘নামার বাজার’। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই মূল বনে ঢুকতে পারবেন। এছাড়া এই এলাকাটি দক্ষিণ প্রান্তে হওয়ায় আপনি সাগরের কাছাকাছি থাকতে পারবেন।
থাকার জন্য নামার বাজারের উত্তরে রয়েছে অবকাশ পর্যটনের নিঝুম রির্সোট । এখানে ২ শয্যার কক্ষ ভাড়া ১০০০ টাকাশয্যার কক্ষ ১২০০ টাকা৪ শয্যার কক্ষ ১৮০০ টাকা৫ শয্যার ডরমিটরির ভাড়া১০০০ টাকা১২ শয্যার ডরমিটরি ২৪০০ টাকা। ঢাকা থেকে এ রিসর্টের বুকিং দেয়াযায়। যোগাযোগঃ অবকাশ পর্যটন লিমিটেডশামসুদ্দিন ম্যানশন১০ম তলা১৭ নিউইস্কাটনঢাকা। ফোন- ৮৩৫৮৪৮৫৯৩৪২৩৫১,০১৫৫২৪২০৬০২।
এছাড়া, ‘মসজিদ বোডিং’। বাজারের উত্তর প্রান্তে মসজিদ বোডিংএ থাকলে ভাড়া পড়বে মাত্র ৬০-৮০ টাকা জন প্রতি। এখানে রুমগুলো পরিপাটিএবং সুন্দর। রয়েছে গোসলের সুব্যবস্থা। আর মসজিদের ইমামের অনুমতি নিয়ে কম দামে সুস্বাদু ডাব খেতে পারবেন।
তাছাড়া বন বিভাগেরবাংলোজেলা প্রশাসকের ডাকবাংলোরেড-ক্রিসেন্ট ইউনিট ও সাইক্লোন সেন্টারেওথাকার ব্যবস্থা করা যায়। তবে এগুলোর জন্য পূর্বেই অনুমতি নিতে হয়।
শ্বাসমূল, ছবিঃ জোবায়ের রায়হান
শ্বাসমূল
ওপারে দেখা যায় মনপুরা দ্বীপ, ছবিঃ জোবায়ের রায়হান
ওপারে দেখা যায় মনপুরা দ্বীপ
কোথায় খাবেনঃ নিঝুম রিসোর্টে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। নামার বাজারে তেমন ভালো কোন খাবার হোটেল নেই। যেগুলো আছে সেগুলোতে খেতে পারেন, তবে আগেই কথা বলে নেবেন। এতে তাজা খাবার পাওয়া যাবে। বিভিন্ন ধরনের মাছ দিয়ে খেলেও ৫০-৬০ টাকার বেশি খরচ হবে না।
এছাড়া নিজেরাও বাজার করে রান্না করে খেতে পারেন। নিঝুম দ্বীপ থেকে ফেরার পথে এখানকার বিখ্যাত শুঁটকি কিনে নিতে পারেন।
পাখিদের স্বর্গ নিঝুম দ্বীপ, ছবিঃ জোবায়ের রায়হান
পাখিদের স্বর্গ নিঝুম দ্বীপ

রাঙামাটি

পাহাড় আর নদীর এমন দৃশ্যের জুড়ি মেলা ভার! ছবিঃ জোবায়ের রায়হান। জুম পর্যটন কেন্দ্রের ''নীল মেঘের দেশ'' থেকে তোলা।
পাহাড় আর নদীর এমন দৃশ্যের জুড়ি মেলা ভার!। জুম পর্যটন কেন্দ্রের ”নীল মেঘের দেশ” থেকে তোলা।
অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি। শহুরে কঠিন এবং কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে বেড়ানোর জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হতে পারে রাঙামাটির লেক,নদী, ঝর্না, চা বাগান, আদিবাসিদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং পাহাড়ঘেরা প্রকৃতি। বিভিন্ন উৎসবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ট্যুরে, এডভেঞ্চার ট্যুরে, হানিমুন কিংবা বন্ধুদের সাথে হঠাৎ বেরিয়ে পড়ার আদর্শ স্থান রাঙামাটি। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের চাইতে অনেক ভালো। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে আপনার গাড়ি যখন এগিয়ে যাবে তখন অন্য রকম আবেশ আপনাকে ঘিরে ধরবে।
রাঙামাটির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছেঃ
১। কাপ্তাই লেক
২। শুভলং ঝর্ণা
৩। নেভি ক্যাম্প
৪। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র
৫। জুম পর্যটন কেন্দ্র
৬। কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান
৭। ঝুলন্ত ব্রিজ
৮। চাকমা রাজবাড়ি
কাপ্তাই লেক। ছবিঃ জোবায়ের রায়হান(নেভি ক্যাম্প এলাকা থেকে তোলা)
কাপ্তাই লেক
কিভাবে যাবেন
সড়ক পথেঃ ঢাকার মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল থেকে প্রতিদিন রাঙামাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বেশ কিছু বাস। সউদিয়া, ডলফিন, এস আলম সহ আরও কিছু বাস রাঙামাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ভাড়া-৫০০-৬৫০ টাকা।
এছাড়াও আপনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে রাঙামাটি যেতে পারেন। চট্টগ্রামের রাঙামাটি বাস ষ্টেশন থেকে একটু পরপরই রাঙামাটির উদ্দশ্যে ছেড়ে যায়। এস আলম, সউদিয়া বাসে যাওয়াই ভালো। ভাড়াঃ ১০০-১২০ টাকা।
রেলপথেঃ রেলপথে যেতে চাইলে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যাওয়া যাবে। কারণ, রাঙামাটিতে কোন রেল যোগাযোগ নেই। সেক্ষেত্রে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেনে গিয়ে সেখান থেকে বাসে সরাসরি রাঙামাটি।
ঢাকা থেকে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি, মহানগর প্রভাতি, তূর্ণা নিশিথা সহ বেশ কিছু ট্রেন চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করে। ট্রেনে যাওয়ার ক্ষেত্রে পূর্বেই শিডিউল জেনে নেবেন, এবং অগ্রিম টিকেট কেটে রাখবেন। এতে পরবর্তীতে বিড়ম্বনায় পড়বেন না। ভাড়াঃ শ্রেণিভেদে ৮০ থেকে ১০৯৩ টাকা। আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-http://www.railway.gov.bd/chittagongschedule.asp
কোথায় থাকবেনঃ
থাকার জন্য রাঙামাটি শহরে বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল-কটেজ রয়েছে।
১। পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স
১২ টি এসি রুম রয়েছ। ভাড়াঃ ১৭২৫ টাকা করে
৭টি নন এসি রুম রয়েছে ভাড়াঃ ৮০৫ টাকা করে
বুকিং- ০৩৫১-৬৩১২৬
২। হোটেল গ্রীন ক্যাসেল
৭ টি এসি রুম রয়েছ, ভাড়াঃ ১১৫০ হতে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত
১৬টি নন এসি রুম রয়েছে, ভাড়াঃ ৭৫০ হতে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।
বুকিং- ০৩৫১-৭১২১৪, ৬১২০০, ০১৭২৬-৫১১৫৩২, ০১৮১৫-৪৫৯১৪৬
৩। হোটেল মাউন্টেন ভিউ (এসি ১২০০ টাকা ও নন-এসি ২০০-১২০০ টাকা।
৪। হোটেল আল-মোবা (এসি ১২০০ টাকা, নন-এসি ৩০০-৫০০ টাকা)
এছাড়াও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের কিছু হোটেল রয়েছে। এগুলোতেও থাকা-খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা আছে।

কান্তজিউ মন্দির


মন্দিরের সামনের অংশ
কান্তনগর মন্দির ইটের তৈরী অষ্টাদশ শতাব্দীর মন্দির। দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ১২ মাইল উত্তরে এবং দিনাজপুর-তেতঁলিয়া সড়কের প্রায় এক মাইল পশ্চিমে ঢেপা নদীর পারে এক শান্ত নিভৃতগ্রাম কান্তনগরে এ মন্দিরটি স্থাপিত। বাংলার স্থাপত্যসমূহের মধ্যে বিখ্যাত এ মন্দিরটির বিশিষ্টতার অন্যতম কারণ হচ্ছে পৌরাণকি কাহিনীসমূহ পোড়ামাটির অলঙ্করণে দেয়ালের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ নবরত্ন বা ‘নয় শিখর’ যুক্ত হিন্দু মন্দিরের চুড়া হতে আদি নয়টি শিখর ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের সর্বৎকৃষ্ট টেরাকোটা শিল্পের নির্দশন রয়েছে এ মন্দিরে। মন্দিরের নির্মাণ তারিখ নিয়ে যে সন্দেহ ছিল তা অপসারিত হয় মন্দিরের পূর্বকোণের ভিত্তি দেয়ালের সঙ্গে সংযুক্ত সংস্কৃত ভাষায় লেখা কালানুক্রম জ্ঞাপক একটি শিলালিপি থেকে। সূত্র অনুযায়ী দিনাজপুরের মহারাজ প্রাণনাথ ১৭২২ সালে এ মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং তাঁর স্ত্রী রুকমিনির আদেশে পিতার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য মহারাজের দত্তকপুত্র মহারাজ রামনাথ ১৬৭৪ সালে (১৭৫২) মন্দিরটির নির্মাণ সম্পন্ন করেন। যা হোক, বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মহারাজা গিরিজানাথ বাহাদুর ধ্বংস হয়ে যাওয়া নয়টি শিখর বাদে মন্দিরটির ব্যাপক পুনর্গঠন করেছিলেন।
মন্দিরে উৎকীর্ণ লিপি
এ জমাকালো পিরামিড আকৃতির মন্দিরটি তিনটি ধাপে উপরে উঠে গিয়েছে এবং তিন ধাপের কোণগুলির উপরে মোট নয়টি অলংকৃত শিখর বা রত্ন রয়েছে যা দেখে মনে হয় যেন একটি উচুঁ ভিত্তির উপর প্রকান্ড অলংকৃত রথ দাঁড়িয়ে আছে। মন্দিরের চারদিকে খোলা খিলান পথ রয়েছে যাতে যে কোন দিক থেকেই পূজারীরা ভেতরের পবিত্র স্থানে রাখা দেবমূর্তিকে দেখতে পায়। বর্গাকৃতির মন্দিরটি একটি আয়তাকার প্রাঙ্গনের উপর স্থাপিত। এর চারদিকে রয়েছে পূজারীদের বসার স্থান যা ঢেউ টিন দ্বারা আচ্ছাদিত। বর্গাকার প্রধান প্রকোষ্ঠটিকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ ইমারত নির্মিত হয়েছে। পাথরের ভিত্তির উপর দাঁড়ানো মন্দিরটির উচ্চতা ৫০ ফুটেরও বেশি। ধারণা করা হয়, গঙারামপুরের (দিনাজপুর) নিকট বাননগরের প্রাচীর ধ্বংসাবশেষ থেকে নির্মাণ উপকরণ এনে এটি তৈরি করা হয়েছিল। বাইরের দিকে উচুঁ করে তৈরী তিনটি চতুষ্কোণাকার প্রকোষ্ঠ এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এ ধরণের নকশা কেন্দ্রীয় প্রকোষ্ঠটিকে শক্তিশালী করেছে, তাই উপরের বিরাট চূড়াটিকে এ প্রকোষ্ঠটির পক্ষে ধারণ করা সম্ভব হয়েছে।

বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাকি আটটি অলংকৃত চূড়া নিচের দু’তলার ছাদের আটটি কোণে সংযোজন করা হয়েছিল। নিচতলার বাঁকা কার্নিস কোণগুলিতে এসে ঝুলে আছে। এর মধ্যবাগ কিছুটা উঁচু হওয়ায় ভিত্তি থেকে এর উচ্চতা দাড়িয়েছে ২৫ ফুট, যার দ্বিতীয় তলার উচ্চতা ১৫ ফুট এবং তৃতীয় তলার ৬‘-৬‘‘। নিচের চারকোণের প্রত্যেকটির সঙ্গে একটি করে ছোট প্রকোষ্ঠ রয়েছে এবং এগুলি দ্বিতীয় তলার উপরে স্থাপিত কারুকার্য খচিত অষ্টকোণাকৃতির কোণের বুরুজগুলির ভর বহন করছে। নিচতলার প্রার্থনা ঘরের চারদিকে মন্দিরে মোট চারটি আয়তাকার বারান্দা রয়েছে। নিচতলার প্রত্যেক দিকের প্রবেশ পথে বুহু খাঁজ যুক্ত খিলান রয়েছে। সমৃদ্ধ অলংকরণ যুক্ত দুটি ইটের স্তম্ভ দ্বারা প্রতিটি খিলানকে পৃথক করা হয়েছে। নিচতলার চার প্রকোষ্ঠের বাইরে মোট ২১টি খিলান দরজা আছে, আর দ্বিতীয় তলায় এ খিলান দরজার সংখ্যা ২৭টি। ছোট হয়ে আসা তৃতীয় তলার মাত্র তিনটি প্রবেশ দরজা এবং তিনটি জানালা রয়েছে। পশ্চিম দিকের দ্বিতীয় বারান্দা থেকে ২‘-৩‘‘ প্রশস্ত সংর্কীণ সিঁড়ি পথ উপরে উঠে গিয়েছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন এ প্রবেশ পথ এঁকে বেঁকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় উঠে গিয়েছে। পূজারীদের চালার বাইরে প্রধান মন্দিরের প্রায় একশগজ দূরে আগাছায় ছাওয়া একটি এক চূড়া বিশিষ্ট ছোট ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দির রয়েছে। প্রচলিত ধারণা মতে মহারাজ প্রাণনাথ ১৭০৪ সালে এ মন্দিরটি তৈরি করে এখানে কৃষ্ণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি সাময়িকভাবে বৃন্দাবন থেকে আনা হয়েছিল। নবরত্ন মন্দির তৈরি সমাপ্ত হলে এ মূর্তিটি এখানে স্থানান্তর করা হয়। এটি এখন একটি পরিত্যক্ত দেবালয়। এ মন্দিরটি ছিল ১৬ পার্শ্ব সম্বলিত সৌধ এবং এর উচ্চতা ছিল ৪০ ফুট এবং এর দক্ষিণ দিকে প্রবেশ পথে ছিল বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলান।

পোড়ামাটির অলংকরণ ভিত্তি থেকে শুরু করে মন্দিরের চূড়া পর্যন্ত ভেতরে ও বাইরে দেয়ালের প্রতিটি ইঞ্চিতে তিনটি পৌরাণিক কাহিনীর অনুসরণে মনুষ্য মূতি ও প্রাকৃতিক বিষয়াবলি বিস্ময়করভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহাভারত ও রামায়ণের বিস্তৃত কাহিনী এবং অসংখ্য পাত্র-পাত্রীর বিন্যাস ঘটেছে এখানে। কৃষ্ণের নানা কাহিনী, সমকালীন সমাজ জীবনের বিভিন্ন ছবি এবং জমিদার অভিজাতদের বিনোদনের চিত্র প্রতিভাত হয়েছে। পোড়ামাটির এ শিল্পগুলির বিস্ময়কর প্রাচুর্য, মূর্তির গড়ন কোমল ভাব ও সৌন্দর্য এত যত্নের সঙ্গে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে, বাংলার যে কোন ম্যূরাল চিত্রের চেয়ে তা অনেক উৎকৃষ্ট। কেউ যদি মন্দির দেয়ালের অলংকরণের দৃশ্য যে কোন দিক থেকে গভীর মনোযোগের সঙ্গে দেখেন এবং বিষয়বস্তুকে সমন্বিত করেন, তবে এর বিষয় বৈচিত্র দেখে অবাক বিস্ময়ে অভিভূত হবেন। মন্দিরের বাইরের দেয়ালের পোড়ামাটির অলংকরণের সাধারণ যে চিত্র, তাতে চারদিকের ভিত্তি প্যানেলের নিম্নাংশে চিত্রগুলি সমান্তরাল ভাবে চারটি প্রবেশ পত্রের দিকে এগিয়ে গিয়েছে।
এ দিক থেকে ভিত্তির একটু উপরেই ক) লতা পাতার মধ্যে প্রস্ফুটিত গোলাপ এবং এর বিকল্প হিসেবে কোথাও চারটি ধাতুর পাতে ধাতব প্রলেপযুক্ত ডিজাইন খ) স্ত্তম্ভের কার্নিসে যে প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তার মধ্যে সমসাময়িক সামাজিক চিত্র ও মাটির খন্ডে তৈরী অভিজাত জমিদারদের শিকারের দৃশ্য প্রস্ফুটিত হয়েছে গ) উপরের সমান্তরাল প্যানেলে সূক্ষ্ম জটিল অলংকরণের মাঝে প্রস্ফুটিত গোলাপ ছিল, যা সাধারণভাবে ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাঘা মসজিদ, কুসুম্বা মসজিদ ও ছোট সোনা মসজিদ প্রভৃতির গায়ে লক্ষ্য করা যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ের অলংকরণের উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ হচ্ছে বনের ভেতর শিকার দৃশ্য,হাতি, ঘোড়া, উট সহযোগে রাজকীয় শোভাযাত্রা এবং অভিজাতদের জন্য চমৎকারভাবে তৈরী গরুর গাড়ি। তাদের গায়ে ছিল মুগল পোশাক ও অস্ত্র। সুন্দরভাবে সজ্জিত হাতি এবং ঘোড়া। এদের সঙ্গে যুক্ত রথসমূহ কারুকার্য সমৃদ্ধ ছিল। অলংকৃত পালকিতে গুটিসুটি মেরে বসে থাকা নাদুস-নুদুস দেহের জমিদার, হাতে তার বিলাসী হুক্কা। হুক্কার অন্যদিকে লম্বা নল থেকে ধূঁয়ার কুন্ডুলি ছুড়ছেন। অন্যদিকে নদীর দৃশ্য রয়েছে, যেখানে লোকজনে ঠাসা সর লম্বা নৌকায় সকলে আন্দোৎসবে মগ্ন।
ছোট ছোট সৈন্যদলের গায়ে রয়েছে ইউরোপীয় পোশাক, খোলা তলোয়ার ও শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় তারা এগিয়ে যাচ্ছে। তৃতীয় ধাপের অলঙ্করণে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনীর চিত্রণ। এখানে লৌকিকভাবে কৃষ্ণর প্রতিকৃতি তৈরী করা হয়েছে। এ পর্যায়ের পোড়ামাটির অলঙ্করণে রয়েছে দানব রাজা কংস কিশোর কৃষ্ণকে বধ করতে উদ্ধত, কৃষ্ণ কর্তৃক রাক্ষস পাতনা এবং সারস গলার দানব বাকাসুর হত্যা, গোবর্ধন পার্বতকে উপরে ফেলে কেশি হত্যা; স্বর্প দানব কালিয়াকে দমন এবং লম্বা সরু নৌকায় কৃষ্ণের আনন্দ ভ্রমণ ইত্যাদি। মন্দিরের দক্ষিণ মুখে কিছু বিভ্রান্তকর দৃশ্যসহ রামায়ণের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রামায়ণের কাহিনীর চিত্র পূর্ব প্রান্তের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এখানে পঞ্চবটীর বনে রাম চন্দ্র, সীতা ও লক্ষণের বনবাসের রুপায়ণ রয়েছে, সূর্পনখার নাকে আঘাতরত লক্ষণ, দন্ডকের বন থেকে রাবন কর্তৃক সীতা অপহরণ; রাবণের রথকে বাঁধা প্রদানে জটায়ুর ব্যর্থ প্রচেষ্টা, অশোক বনে সীতার বন্দি জীবন; কিশকিন্দিয়ার সিংহাসনের জন্য বালী এবং বানর অনুসারী সহ সুগ্রীভের যুদ্ধ। এছাড়াও আকর্ষণীয় ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রাম চন্দ্রের সপ্ততলা বেদ এবং বানর অনুসারীসহ রামচন্দ্রের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় রত ছিলেন সুগ্রীভ।
উত্তর দিকের প্রতিমূর্তিগুলির মধ্যে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল কৃষ্ণ বলরাম। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কৃষ্ণের বিভিন্ন বিয়ের ছবি; গোয়ালিনী দন্ডের দু্ই মাথায় ঝোলানো শিকায় (পাটের ঝোলা) দুধ ও দৈ বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। অলঙ্করণের দ্বিতীয় ধাপে একটি আকর্ষণীয় ইউরোপীয় যুদ্ধ জাহাজ খোদিত হয়েছে। এখানে সূক্ষ্ম ও বিস্তারিতভাবে দৃশ্যমান রয়েছে সৈনিক এবং কামান। পশ্চিম দিকের পুরো অংশেই তৃতীয় ধাপের সূক্ষ্ম অলঙ্করণে কৃষ্ণ কাহিনীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। এ অলঙ্করণ শেষ হয়েছে মধুরার দানব রাজা কংসকে হত্যার মধ্য দিয়ে। এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কংসের দানবাকৃতির খুনে হাতি কবল্লপীড়ার ধ্বংস, মথুরায় কংসের সঙ্গে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে কৃষ্ণকে অংশগ্রহণে বিরত করতে না পেরে রাধার জ্ঞান হারানো। এসব চিত্রের মধ্যে দন্ডের দুই প্রান্তে ঝোলানো শিকাতে দুধ ও মাখন বহন করা গোয়ালার চিত্র খুবই আকর্ষণীয়, যা এখনও গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত দৃশ্য। বহু খাঁজ বিশিষ্ট খিলানের স্প্যান্ড্রিলের উপরে সম্প্রসারিত প্যানেলে চমৎকারভাবে দৃশ্যমান করা হয়েছে মহাকাব্যগুলির প্রাণবন্ত যুদ্ধের দৃশ্যাবলি। এতে আরও দেখানো হয়েছে একটি বৃত্তের ভেতর নৃত্যরত রাধাকৃষ্ণের যুগলশূর্তিসহ রস-মন্ডল ও এর সাথে অন্যান্য সহায়ক মূর্তি। কুরুক্ষেত্র ও লঙ্কার প্রচন্ড যুদ্ধের দৃশ্যাবলি রুপায়নে স্থানীয় লোকশিল্পীদের কল্পনা ও প্রচুর প্রাণশক্তির প্রকাশ ঘটেছে।

আপাতঃদৃষ্টিতে মন্দিরের দেওয়ালে ব্যাপকভাবে পোড়ামাটির চিত্র অলঙ্করণকারী লোকশিল্পীদের অনেকেই এসেছিলেন কৃষ্ণনগর থেকে। তারা তাদের পরিচিত পরিবেশের প্রভাব শিল্পকর্মে প্রতিফলিত করেছেন। প্যানেলে সূক্ষ্মভাবে চিত্রায়িত দেবতাগণের আদল কখনও কখনও বিস্ময়করভাবে তাদের সমাজের পরিচিত সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে মিলে গিয়েছিল। উদাহরণ হিসেবে পশ্চিমের সম্মুখভাগের নিচের দিকের প্যানেলের পোড়ামাটির অলঙ্করণগুলির কথা বলা যেতে পারে। এখানে কৃষ্ণ গাছ থেকে নারকেল পাড়ছিলেন এবং গাছের অর্ধেক পর্যন্ত আরোহণ করা তাঁর এক সঙ্গীর হাতে এটি তুলে দিচ্ছেন এবং নিচে অপেক্ষারত অন্য সঙ্গীর হাতে সে দিচ্ছিল নারকেলটি। এটি ছিল বাংলার একটি পরিচিত দৃশ্য। এখানে দেবতাকে এ সমাজের একজন পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। কতিপয় স্বতন্ত্র ফলক চিত্রও রয়েছে যেখানে স্বভাবিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ছিল। যেমন দক্ষিণ দিকে বারান্দার ভেতর দিকে একটি ফলক রয়েছে যেখানে রাধা-কৃষ্ণ একটি হাতির ওপর নৃত্য করছেন, একই সঙ্গে বেশ দক্ষতায় ডজন খানেক মানব মূর্তিও উৎর্কীণ করা হয়েছে। উত্তর দিকের দেওয়ালে কৃষ্ণ তাঁর একজন নবপরীণিতা স্ত্রীর সঙ্গে চাঁদোয়ার নিচে কটি পিঁড়িতে (নিচু করে তৈরী কাঠের আসন) বসেছেন। নববধু লাজনম্রভাবে অবগুন্ঠন দিয়ে আছেন এবং একহাত দিয়ে ধরে আছেন নিজের মাথা। তিনি চকিত দৃষ্টি দিচ্ছেন তাঁর প্রভুর দিকে। এটি বাংলার সুপরিচিত বিয়ের দৃশ্যের প্রতিফলন। কার্ণিসে অলংকৃত বিশৃঙ্খল জনতাদের মধ্যে হাঁটু ও পেছন দিক একটি গামছা পেঁচিয়ে (কাপড়ের টুকরো) হাঁটু ভাঁজ করে গুটিসুটি মেরে নির্লিপ্তভাবে বসে থাকা কৃষ্ণ, এমন দৃশ্যও কেউ খুঁজে পেতে পারেন। এ ভঙ্গি বাঙালিদের মধ্যে দেখা যায় না। তবে এ দৃশ্যের মিল পাওয়া যায় বিহারের শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে।
যাহোক, কান্তজীর মন্দিরের চমৎকার পোড়ামাটির অলঙ্করণের একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দিক হলো যে, এতে কামদ দৃশ্যাবলির চিত্র অঙ্কন করা হয়নি, যেমনটি দেখা যায় উড়িষ্যা ও দক্ষিণ ভারতীয় মন্দিরসমূহে কান্তজীর মন্দিরের দেওয়ালের ওপর পোড়ামাটির এ বিশাল অলঙ্করণ সে সময়ের জীব ও প্রাণশক্তিরই প্রকাশ ছিল এবং হাজার বছর ধরে বাংলাদেশের পলিময় মাটিতে লালিত শক্তির ভেতর থেকেই এ শিল্প বেড়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের মতো এমন ব্যাপক উর্বর পলিময় ভূমিতে পাথরের অভাব হেতু দেশীয় ধারায় পোড়ামাটি শিল্পের বিকাশ যৌক্তিক কারণেই ঘটেছিল। আদি ঐতিহাসিক যুগে, বিশেষ করে পাল চন্দ্র বংশের আমলে যখন পাহাড়পুর, ময়নামতী, ভাসু বিহার এবং সিতাকোটে বৌদ্ধ মন্দির এবং অন্যান্য ইমারতসমূহ লতা-পাতা ও পোড়ামাটির মূর্তি দিয়ে প্রাণবন্ত ছিল, তখন থেকেই এ রুপকারক শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। এ সমস্ত পোড়ামাটির ফলক ছিল বড় আকৃতির এবং কিছুটা সেকেলে ধরণের। কিন্তু কান্তনগর মন্দিরের দেওয়াল সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। শিল্পীগণ অত্যন্ত উচ্চমানের পরিশীলিত এবং পরিণত শিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছিলেন, যেখানে সমন্বিত ধারায় অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে অলঙ্করণ করা হয়েছিল। বিচ্ছিন্ন ধারায় প্রাচীন শিল্প ঐতিহ্যের বিপরীতে এবং কিছুটা অসংলগ্ন বিন্যাসে এ মন্দিরের শিল্পের সমন্বয় ঘটেছিল বেশ কিছু স্বতন্ত্র ফলকে এবং বিস্তৃতভাবে শিল্প প্রকরণের যে সমন্বিত রুপের প্রকাশ ঘটেছিল তার মধ্যে এক ধরণের ছন্দ লক্ষ করা যায়। এরই প্রভাবে কার্পেট ও অন্যান্য সূচী শিল্পে এ ঐশ্বর্যশালী অলঙ্করনের ব্যবহার প্রায়শই লক্ষ্য করা যায়।
তথ্যসুত্রঃ দিনাজপুর জেলা তথ্য বাতায়ন, ছবিঃ জোবায়ের রায়হান

 Nilgiri, Bandorban – The highest hill resort and a wonderful place of Bangladesh





Nilgiri


Nilgiri
Nilgiri

Nilgiri Tourist Spot

Nilgiri or Nil Giri is one of the tallest peaks and beautiful tourist spot in Bangladesh. It is about 3500 feet high and situated at Thanci Thana. It is about 46 km south of Bandarban on the Bandarban-Chimbuk-Thanchi road. Beside this spot you can see Mro villages. Their colorful culture and living style are surely an unexplored experience for the visitors. In rainy season here creates a spectacular scenery, the whole spot is covered with the blanket of clouds. You can enjoy a cloudy experience. Winter is waiting for you with it’s foggy gesture on the height. It is a nice place for campfire in that season. Most attractive time is the dawn. It is better if you chose to stay during 7-18 dates of a lunar month to enjoy the moonlit night. You can also enjoy the serpentine course of Sangu River. This is the most spectacular tourist spot in Bandarban and managed by Army brigade of Bandarban.
- See more at: http://www.bandarbantours.com/nilgiri/#sthash.Uce3636c.dpuf

Nilgiri and Thanchi

Nilgiri or Nil Giri is one of the tallest peaks and beautiful tourist spot in Bangladesh. It is about 3500 feet high and situated at Thanci Thana. It is about 46 km south of Bandarban on the Bandarban-Chimbuk-Thanchi road. Beside this spot you can see Mro villages. Their colorful culture and living style are surely an unexplored experience for the visitors. In rainy season here creates a spectacular scenery, the whole spot is covered with the blanket of clouds. You can enjoy a cloudy experience. Winter is waiting for you with it’s foggy gesture on the height. It is a nice place for campfire in that season. Most attractive time is the dawn. It is better if you chose to stay during 7-18 dates of a lunar month to enjoy the moonlit night. You can also enjoy the serpentine course of Sangu River. This is the most spectacular tourist spot in Bandarban and managed by Army brigade of Bandarban.
- See more at: http://www.bandarbantours.com/nilgiri-and-thanchi/#sthash.Xijpw5xz.dpuf

Nilgiri and Thanchi

Nilgiri or Nil Giri is one of the tallest peaks and beautiful tourist spot in Bangladesh. It is about 3500 feet high and situated at Thanci Thana. It is about 46 km south of Bandarban on the Bandarban-Chimbuk-Thanchi road. Beside this spot you can see Mro villages. Their colorful culture and living style are surely an unexplored experience for the visitors. In rainy season here creates a spectacular scenery, the whole spot is covered with the blanket of clouds. You can enjoy a cloudy experience. Winter is waiting for you with it’s foggy gesture on the height. It is a nice place for campfire in that season. Most attractive time is the dawn. It is better if you chose to stay during 7-18 dates of a lunar month to enjoy the moonlit night. You can also enjoy the serpentine course of Sangu River. This is the most spectacular tourist spot in Bandarban and managed by Army brigade of Bandarban.
- See more at: http://www.bandarbantours.com/nilgiri-and-thanchi/#sthash.Xijpw5xz.dpuf

Nil Giri is the highest hill resort of Bangladesh with amazing natural beauty. This Resort is located 47 km South-East of Bandarban town on Chimbuk Range at a height of 2400 feet from sea level. It has a high class residential accommodation that makes a difference.  This beautiful resort in the top of the mountain maintain by the Bangladesh Army.
You will be amazed when you see that the cloudy sky often kisses the peak of the hill. Gentle breeze was blowing down the hill side and thin clouds were hanging around on their way to casual fly. Dimmed through the clouds, silver moon light was rolling down the folds and slopes.  It is Imagine the scene! Clouds are playing with you and you can touch them! This is the most attractive place of Bangladesh for those who love hills and clouds.



RANGAMATI

 From Chittagong a 77 km. road amidt green fields and winding hills will take you to Rangamati, the headquarters of Rangamati Hill District which is a wonderful repository of scenic splendours with flora and fauna of varied descriptions. The township is located on the western bank of the Kaptai lake. Rangamati is a favourite holiday resort because of its beautiful landscape, scenic beauty, lake, colourful tribes (Chakma, Marma etc.) its flora and fauna, tribal museum, hanging bridge, homespun textile products, ivory jewellery and the tribal men and women who fashion them.

For tourists the attractions of Rangamati are numerous, tribal life, fishing, speed boat cruising, water skiing, hiking, bathing or merely enjoying nature as it is. Bangladesh Parjatan Corporation provides suitable hotel and cottage accommodation, catering, speed boat and other facilities at Rangamati.
Nilgiri or Nil Giri
Nilgiri or Nil Giriggg

Nilgiri and Thanchi

Nilgiri or Nil Giri is one of the tallest peaks and beautiful tourist spot in Bangladesh. It is about 3500 feet high and situated at Thanci Thana. It is about 46 km south of Bandarban on the Bandarban-Chimbuk-Thanchi road. Beside this spot you can see Mro villages. Their colorful culture and living style are surely an unexplored experience for the visitors. In rainy season here creates a spectacular scenery, the whole spot is covered with the blanket of clouds. You can enjoy a cloudy experience. Winter is waiting for you with it’s foggy gesture on the height. It is a nice place for campfire in that season. Most attractive time is the dawn. It is better if you chose to stay during 7-18 dates of a lunar month to enjoy the moonlit night. You can also enjoy the serpentine course of Sangu River. This is the most spectacular tourist spot in Bandarban and managed by Army brigade of Bandarban.
- See more at: http://www.bandarbantours.com/nilgiri-and-thanchi/#sthash.Xijpw5xz.dpuf

Nilgiri and Thanchi

Nilgiri or Nil Giri is one of the tallest peaks and beautiful tourist spot in Bangladesh. It is about 3500 feet high and situated at Thanci Thana. It is about 46 km south of Bandarban on the Bandarban-Chimbuk-Thanchi road. Beside this spot you can see Mro villages. Their colorful culture and living style are surely an unexplored experience for the visitors. In rainy season here creates a spectacular scenery, the whole spot is covered with the blanket of clouds. You can enjoy a cloudy experience. Winter is waiting for you with it’s foggy gesture on the height. It is a nice place for campfire in that season. Most attractive time is the dawn. It is better if you chose to stay during 7-18 dates of a lunar month to enjoy the moonlit night. You can also enjoy the serpentine course of Sangu River. This is the most spectacular tourist spot in Bandarban and managed by Army brigade of Bandarban.
- See more at: http://www.bandarbantours.com/nilgiri-and-thanchi/#sthash.Xijpw5xz.dpuf

No comments:

Post a Comment